জাহজের নাবিকদের মত তারা দেখতে গেলে একটা লগবুক লাগে। সেখানে হিসাব রাখতে হয় কবে কোন তারাটা কোথায় উঠল, কোনটা ডুবল। আমার লগবুক পাওয়া যাবে এখানে। পিডিএফ সংস্করণ ডাউনলোড করতে নীচের লিংকে ক্লিক করতে হবে।
Stargazer's Diary
ভূমিকা
আমার সবচেয়ে সুন্দর সময় কাটে যখন আমি তারা দেখি। রাতের আকাশের দিকে
তাকিয়ে মনে হয় সৌন্দর্যে ভরপুর একটা আকাশ, এবং যেখানে কোন মন খারাপ নেই। আমি এখন অবাক হয়ে
দেখি, আকাশের সব তারাকে আমি চিনি,
সবাই যেন আমার প্রতিবেশি, কিংবা বন্ধু!
শহুরে আলোয় যে তারাগুলো দেখা যায়না, তাদের যেখানটায়
থাকার কথা, সেখানে তাকিয়ে ভাবি, একটা টেলিস্কোপ
থাকলে নিশ্চয়ই তারাটা দেখতে পেতাম ঠিক ওখানটায়।
প্রথম দিকে
ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম সপ্তর্ষীর দিকে তাকিয়ে। পরে যখন পুরো আকাশটাকে চিনলাম, তখন মনে হল, ছেলেবেলায় কেন শিখিনি তারা দেখা?
কালপুরুষ পৃথিবীর সব নক্ষত্রপিয়াসুর মনেই আগ্রহ জাগায়। আমি তাই
কালপুরুষও দেখেছি অনেক। কৃত্তিকা যেদিন প্রথম দেখি, চেচিয়ে উঠেছিলাম আনন্দে! এখন
আকাশটাকে খুব ভালো চিনি, তাই আকর্ষণটাও বাড়ছে। একসময় মনে হত, পুরো আকাশটা চিনলে
পানসে লাগবে। কিন্তু উল্টো হল। ভালবাসা বাড়ছে। তারা দেখা শিখতে গিয়ে আমাকে সবসময়
নাবিকের মত লগবুকে সব টুকে রাখতে হয়ছে। এই সেই লগবুক। এখানে আছে কয়েকমাসের তারা
দেখার যত হিসাব।
স্বপ্ন
দেখি, কোন একদিন উত্তর মেরুতে যাব। ঠিক উত্তরের বিন্দুটায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখব,
যেখানে মাথার ওপরে ধ্রুবতারা থাকে, আর অন্যরা তাকে ঘিরে ঘোরে। এই মূহুর্তটার জন্য
আমি বাঁচতে চাই।
তারা
নিয়ে গল্প করতে এবং অন্যকে তারা দেখা শেখাতে আমার ভাল লাগে। বড় ভাল লাগে। মাঝে
মাঝে মনে হয়, ইশ! পৃথিবীর সব মানুষ যদি তারা চিনত!
ওমর
ফারুক
১৫
মার্চ, ২০১৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন