শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬

একটি দুঃখী বাঘের আত্মকাহিনী

গল্পের পেছনের কথা

তখন আমি বেশ ছোট। ক্লাস সেভেনে পড়ি। একটু একটু লিখতে পারি, আর শত শত বই পড়ি। আমার ঘুমের জন্য, পড়ার জন্য যত সময় আছে, তার অনেকখানি দেই বই পড়াতে। গল্পের বই। সেই ছোট সময়ে, আমি লিখলাম গল্পটা। ছোট থাকার আনন্দটা বুঝতে পারছি গল্পটা এখন পড়ে। কল্পনা করা যায়, এবং সে কল্পনাকে অনুভব করা যায়। এখন সে জগৎ হারিয়ে গেছে। আমাকে বলুন এমন একটা লেখা লিখতে, আমি পারবনা।

অলংকরণটা  সম্ভবত মাসুক হেলালের করা।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬

পৃথিবীটা কমলালেবুর মত গোল

তুমি আমাকে ভুল বুঝলে, ভীষণ লজ্জায় আমি পালিয়ে যেতে চাই। কখনো আর মুখ দেখাতে চাই না। তা আমি পারব কেমন করে? পৃথিবীটা যে গোল! ঘুরেফিরে আবার তোমার সামনে আমি পড়বই! তোমাকে আবার আমার মুখ দেখাতে হবে। হু, এ পৃথিবীতে এখন আর পালিয়ে যাওয়া যায়না।

পৃথিবীটা যদি হত থালার মত চ্যাপ্টা, তবে তুমি যেপথে হাঁটছ, উল্টোদিকে চললাম, আর দেখা হবেনা। একদিন চ্যাপ্টাই ছিল, তখন পালিয়ে বাঁচা যেত। কিন্তু এখন আর নেই যে সে দিন! বারবার মুখোমুখি হতে হবে।

অপ্রাসঙ্গিক শুরুটা থাকুক। 'অশিক্ষিত' লোকজন আমার একদম অসহ্য লাগে। গা জ্বলে বলা যায়। কিছু মানুষ আছে যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও শিক্ষিত মন নিয়ে বেঁচে আছেন। আমি তাঁদের কথা বলছিনা। ডায়েরিতে দেখলাম, 'অসহ্য লাগে অশিক্ষিত মানুষদের'- কথাটা খুব সুন্দর করে লেখা। কবে কী কারনে লিখেছিলাম, ভুলে গেছি এতদিনে। তবে অসহ্য এখনো লাগে, লেগে যাবে।

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

শহর আর শহরতলীতে বাস এবং বিকারগ্রস্থ আমরা যেমন

একটা গল্প দিয়ে শুরু।
মিরপুর দশের মোড় থেকে একটু ডান দিকে। রাস্তার মাঝখানে একটা জটলা, একটা হিউম্যান হলার (ম্যাক্সি) রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করানো। ভীড়টা তার সামনেই। এগিয়ে দেখি, একটা রিকশা উল্টে আছে তার মধ্যে ফেলে হিউম্যান হলারের চালককে পিটাচ্ছে অনেকগুলো মানুষ (?)। প্রায়ই এসব দেখি, তাই ভ্রুক্ষেপ না করে এগিয়ে যেতে গিয়েই ধাক্কাটা খেলাম। ভীড়ের পাশেই রাস্তায় পরে আছে রিকশাচালক, যাকে ধাক্কা দেয়ার অপরাধে গণপিটুনি জুটছে হিউম্যান হলার চালকের কপালে। প্রায় বদ্ধ উন্মাদের মত করে মারছে লোকটাকে 'গণমানুষ'। আর সেই রিকশাচালক রাস্তায় আহত হয়ে পরে আছে, শরীরের অনেক জায়গায় ছিলে গেছে।

শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬

দুঃখটা যখন অনেক বড়





হঠাৎ করে দেখলাম আমার ব্লগের সব লেখা হারিয়ে গেছে। একদম সব!

আমি কিছুক্ষণ স্তদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকলাম এবং কান্না চেপে গেলাম। এ কয়দিনের লেখাগুলো আর নেই ইন্টারনেটে! আমি ভাবছিলাম দুঃখটুকু সওয়া সম্ভব না। অনেক লেখারই ব্যাকআপ নেই কম্পিউটারে কিংবা অন্য কোন ওয়েবসাইটে।

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১৬

Stargazer's Diary

জাহজের নাবিকদের মত তারা দেখতে গেলে একটা লগবুক লাগে। সেখানে হিসাব রাখতে হয় কবে কোন তারাটা কোথায় উঠল, কোনটা ডুবল। আমার লগবুক পাওয়া যাবে এখানে। পিডিএফ সংস্করণ ডাউনলোড করতে নীচের লিংকে ক্লিক করতে হবে।

Stargazer's Diary


ভূমিকা



আমার সবচেয়ে সুন্দর সময় কাটে যখন আমি তারা দেখি রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে হয় সৌন্দর্যে ভরপুর একটা আকাশ, এবং যেখানে কোন মন খারাপ নেই আমি এখন অবাক হয়ে দেখি, আকাশের সব তারাকে আমি চিনি, সবাই যেন আমার প্রতিবেশি, কিংবা বন্ধু! শহুরে আলোয় যে তারাগুলো দেখা যায়না, তাদের যেখানটায় থাকার কথা, সেখানে তাকিয়ে ভাবি, একটা টেলিস্কোপ থাকলে নিশ্চয়ই তারাটা দেখতে পেতাম ঠিক ওখানটায়

প্রথম দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম সপ্তর্ষীর দিকে তাকিয়ে পরে যখন পুরো আকাশটাকে চিনলাম, তখন মনে হল, ছেলেবেলায় কেন শিখিনি তারা দেখা? কালপুরুষ পৃথিবীর সব নক্ষত্রপিয়াসুর মনেই আগ্রহ জাগায়। আমি তাই কালপুরুষও দেখেছি অনেক। কৃত্তিকা যেদিন প্রথম দেখি, চেচিয়ে উঠেছিলাম আনন্দে! এখন আকাশটাকে খুব ভালো চিনি, তাই আকর্ষণটাও বাড়ছে। একসময় মনে হত, পুরো আকাশটা চিনলে পানসে লাগবে। কিন্তু উল্টো হল। ভালবাসা বাড়ছে। তারা দেখা শিখতে গিয়ে আমাকে সবসময় নাবিকের মত লগবুকে সব টুকে রাখতে হয়ছে। এই সেই লগবুক। এখানে আছে কয়েকমাসের তারা দেখার যত হিসাব।

স্বপ্ন দেখি, কোন একদিন উত্তর মেরুতে যাব। ঠিক উত্তরের বিন্দুটায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখব, যেখানে মাথার ওপরে ধ্রুবতারা থাকে, আর অন্যরা তাকে ঘিরে ঘোরে। এই মূহুর্তটার জন্য আমি বাঁচতে চাই।

তারা নিয়ে গল্প করতে এবং অন্যকে তারা দেখা শেখাতে আমার ভাল লাগে। বড় ভাল লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয়, ইশ! পৃথিবীর সব মানুষ যদি তারা চিনত!

ওমর ফারুক
১৫ মার্চ, ২০১৬
 



বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১৬

বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ, রঙিন করে

আমার অসম্ভব প্রিয় রজনীতিবিদ এবং ব্যাক্তিত্ব হল বঙ্গবন্ধু। এবং তাঁর নাম আসলে সবার আগে স্বাধিনতা, আর সাতই মার্চের ভাষণ।