“সব ছেড়ে চলে এলে?”
“এলাম।”
“তুমি তো বলতে তুমি নৈরাশ্যবাদী, ভীতু।”
“তবু তো এলাম। ওটা বকুলের মালা নাকি?”
“হু। দেখেছ কেমন সুবাস?”
“চারুকলা থেকে কুড়িয়েছ বুঝি?”
“নাহ! কিনলাম এক খুকির কাছ থেকে।”
“নিজে কুড়ালে কী হত? ও ফুল নেব না আমি!”
“আহা! কুড়ালে সে ফুল শুকিয়ে যেত যে!”
“এটাও তো শুকাল।”
“ম্যালা দিন হল যে!”
“পার্থক্যটা রইল কই?”
“আমারটা তো শুকায়নি।”
“তবেই হল?”
“হল।”
“তুমি বড় নিষ্ঠুর।“
“তুমিও তাই।”
“চলো দূরে কোথাও যাই।”
“বৈরাগির সংসার গড়তে?”
“একরকম।”
“মালাখানা তবে ফেলে দিব?”
“কেন!”
“তুমি যে বললে নেবে না!”
“রবিঠাকুর বকুল নিয়ে কী বলেছে জানো?
ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল,
আঁচল আকাশে হতেছে আকুল,
উড়িয়া অলক ঢাকিছে পলক--
কবরী খসিয়া খুলিছে।
ওগো, নির্জনে
বকুলশাখায়
দোলায় কে আজি দুলিছে?”
“যাও! মেয়েদের মুখে মানায় নাকি লাইনটা? আমি বলছি।
ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল,
আঁচল আকাশে হতেছে...”
টুক টুক! টুক টুক! ফোন বাজল। আমার ঘুম ভাঙ্গল। সেই
একইরকম বার্তা।
‘বদলে
গেছি। আরো হতাশাবাদী হয়েছি।’
দীর্ঘশ্বাস ছুড়লাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন