বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

চিরন্তন



শুরুর আগে

কাল সিঁড়ি দিয়ে শব্দ তুলে উঠছিলাম, দোতলার দরজা খুলে গেল। অন্তরা বলল, একটু দাঁড়ান। একটা লাল রঙয়ের ডায়েরি এনে বলল, আপনার ব্লগে দিবেন। আমি ডায়েরিটা নিয়ে উপরে চলে এলাম। এক বসায় ওর এই দেড় মাসের স্মৃতিকথা পড়লাম। আমরা এই বাড়িতে ওঠার পর থেকে ওর সাথে প্রেম হওয়া পর্যন্ত। কোথাও কোথাও অনেক কাটাকাটি করা হয়েছে, কোন পৃষ্ঠা একদম নতুন করে লেখা হয়েছে। লেখার ধাঁচটা অনেকটা আমার মত। সন্ধ্যায় ক্লাশ করে এসে ডায়েরিটা পেয়েছি। রাতে পড়া ছিল, তাই আজ দুপুরে সবটা টাইপ করলাম। চিরন্তন শব্দটার ফরাসি অর্থ হল 'ন হন্যতে'। ডায়েরির প্রথম পাতার ওপরে ফরাসি শব্দ দুটো অন্তরাই লিখেছে
ওর বাবা-মা এই লেখা পড়বেন। আপনাদের মেয়ে অকালপক্ক হবার পেছনে আমার দায়টুকু স্বীকার করছি, এবং দেবতাসম মানুষ দুজনের কাছে ক্ষমা চাইছি। আজ থেকে দোতলা থেকে উঠবার সময় লজ্জায় হয়ত প্রার্থনা করতে করতে উঠব, আপনাদের সামনে যেন না পড়তে হয়। 
সপ্তাহখানেক বয়স হয়েছে যে প্রেমেরে, সে প্রেমে সবচেয়ে সুন্দর মূহুর্ত কোনটা? অন্তরা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেছিল, "আপনি এমন বিশ্রী করে শব্দ তুলে সিঁড়ি দিয়ে উঠেন কেন?"
ওমর ফারুক
২০ জুলাই ২০১৬।

এক.
আমাদের বাড়িতে নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। সাততলা দুমাস ধরে খালি ছিল, সেখানে। আসলে বাড়িটা আমাদের না। আমরাও এ বাড়িতে ভাড়াটিয়া। আমার নাম অন্তরা, ক্লাস সেভেনে পড়ি আজিমপুর ইশকুলে। নাজিমউদ্দিন রোড জায়গাটা পুরান ঢাকা হয়েও সেরকম ঘিঞ্জি না। যেন পুরান ঢাকার উপনিবেশ। তবে বাড়িগুলো খুব কাছাকাছি, ছোট ছোট। আমার বাবা ঢাকা কলেজে বাংলা পড়ান। মা যায়যায়দিন পত্রিকার ফিচার 'নন্দিনী'তে কাজ করেন। আমরা থাকি দোতলায়। বাড়িটা সাততলা। গত দুটি মাসেরই এক তারিখ আমি অপেক্ষা করেছি, নতুন কেউ আসছে কিনা এ বাড়িতে। আসেনি। কিন্তু আজ এল। যখন জিনিসপত্র নিয়ে বিস্তর টানাটানি চলছে, তখন বোঝার উপায় নেই কারা আসল ভাড়াটিয়া। তাই সব শান্ত হওয়ার অপেক্ষা করি। এ বাড়িতে আমার বয়সী কিংবা আমার বন্ধু কেউ নেই। তাই আমার এত আগ্রহ আগন্তুক পরিবারের প্রতি। যেহেতু আমি কোন প্রাইভেট পড়ি না, তাই আমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ মেলে শুধু ইশকুলে যেতে। আর ফি শুক্রবার বিকেলে শিশু একাডেমিতে নাচ শিখতে যেতে পারি।

আমি যেমন চঞ্চল চোখে সিঁড়িতে চোখ রাখছিলাম এ বাড়ির নতুন বাসিন্দাদের প্রতি, তেমনি মাও চোখ রাখছিলেন। আমার বয়স তের

শনিবার, ৯ জুলাই, ২০১৬

MANSLATER: যন্ত্রটা আমার যেজন্য প্রয়োজন ছিল

photo: central films

বাংলা ভাষা বড্ড জটিল, আসলে মানুষের ভাষাটাই অমন। একটা ভারী বোঝার মত লাগে আজকাল কাউকে বোঝার চেষ্টাটাকে। একটা যন্ত্রের কথা দেখলাম ইউটিউবে। নারী আচরণ নিয়ে বিভ্রান্ত যারা, তাদের জন্য যন্ত্রটা। ভিডিওটাতে যন্ত্রটা নারীদের যে কোন বাক্যের ঠিক ঠিক অর্থটা দেখিয়ে দেয়। আর আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলি, অমন যন্ত্র যদি সত্যি থাকত!
না বুঝবার সমস্যাটা আমার সেই জন্ম থেকে। মার হাসির পেছনের কষ্টটা বুঝিনা, বোনের রাগ বুঝিনা, সিনেমার নায়িকার সংলাপগুলোও দূর্বোধ্য লাগে।