বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

বৈরাগীর সংসার

ছেলেটা চিঠিতে লিখল, "আজ প্রথমবারের মত মনে হল, আমি হয়তবা পারবনা | আমার যে বৈরাগ্যের প্রতি টান, তা ভাল করে উপলদ্ধি করছি| এমনও হতে পারে জীবনে একলাই থাকলাম। জীবনটা শুধু নিজেকে নিয়ে নিজের মত করে কাটাতেও পারি।
ভয় হয়, একদিন মন উঠে যাবে| আবার কারো প্রতি লম্বা সময়ের জন্য মন বসাতে পারব না। কিন্তু এমন কদিনের মোহ, কদিনের মোহ দিয়ে তো জীবন চলবেনা। সমাজ মানবেনা, মানুষ কষ্ট পাবে। তাই হয়তবা বৈরাগ্যের জীবনই সই। জানিনা আমি।"

মেয়েটা উত্তরে লিখল, "জানো বৈরাগ্যের প্রতি টান আমারো আছে| চল দুজনে মিলে বৈরাগী হই। বৈরাগী জীবন কাটাবো একসাথে। বৈরাগী সংসার !"

রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

যেভাবে কখনো ঢাকা ঘুরিনি

ছবিঃ BANGLADESH: discover today, think tomorrow

নানা জায়গায় বেড়াতে যাই প্রচুর। আর ঢাকার ধুলাবালির মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই ঘুরতে হয়। কখনো কাজে, কখনো বাধ্য হয়ে, আর কখনোবা সাধে। যখন সাধে ঘুরি, তখনকার সময়গুলোকে এককথায় 'অসাধারন' বলতে আমি পারিনা কখনোই। হয়তবা কিছু সময়কে অনেক সময় ভালো বলি, কখনো সুন্দর বলি। কিন্তু সত্যি ঘুরে বেড়াবার আনন্দটুকু সেখানে অতটা থাকেনা।

আজকের দিনটা ছিল নিছক ঘুরে বেড়ানোর। আমরা হেঁটে বেড়িয়েছি যেমন ইচ্ছে তেমন করে।

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৬

স্বরলিপি আহমেদ

ছবি : আকাশ      মডেল : সামিয়া
স্বরলিপি আহমেদ নাম থেকে আশির দশকে যে চিঠিগুলো আসত আমার কাছে, সেগুলোর লেখার ভঙ্গি ছিল চমৎকার। আমি সবেমাত্র অনার্স শুরু করেছি। থাকি ঠাকুরদার আমলের পুরনো একটা বাড়িতে, মগবাজারে। আমার ছোট বোনটা তখনো ইশকুলে পড়ে। বোধকরি তখন ব্যাপারটা শুরু। আমাদের বাড়িতে সবার প্রচুর চিঠি আসত, তাই ছোট পরিবার হলেও কেউ কারো চিঠির দিকে তাকাতো না। তবে ছোট বোন চিত্রাকে পরের দিকটায় প্রায়ই এক কিংবা দুই টাকা করে দিতে হয়েছে চিঠি উদ্ধার করতে। যে সময়টায় ডাকপিওন আসত, তখন আমি বাড়িতে থাকতাম খুব কমই। চিঠিগুলো যেত চিত্রার কবলে, এবং সে থেকেই এই ঘুষ-প্রথা আমাদের বাড়িতে ঢোকে।

প্রথম যেদিন চিঠিটা আসে, সেদিন আমি বাড়িতে ছিলাম। চিঠিটা আনমনে খুলি এবং 'প্রিয় প্রত্যুষ' সম্বোধন দেখে কেমন চমকে যাই।