স্মৃতিসৌধের শেষ মাথায়, কয়টা পলাশ গাছ আছে। পলাশের বসন্ত ভালো লাগে। তাই হয়ত বসন্ত এলে রাস্তাটাকে সে চাদরে ঢেকে দেয়। লেকটা যেখানে ঘুরে গেছে, সেখানটায়ই গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে। বসন্তে এই এলাকাটা একদম কমলা হয়ে থাকে। সেই কমলা চাদরটার টানেই হয়ত প্রতি বসন্তে নিয়মিত এসে বসে থাকি এ জায়গাটায়। এবছর শুরুটাই করলাম শীতে।
প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এল। এপাশটা ভোর, সকাল, সন্ধ্যা; সবসময়েই নির্জন। হয়ত শুধু পলাশ ফুল না, নির্জনতাটাও আমাকে টানে। এক দিকে ফিরলে জল দেখতে পাব, সেখানে শাপলা কিংবা পদ্ম ভাসবে, অন্যদিকটায় ফিরলে ডাঙ্গা দেখতে হবে, তবে সে ডাঙ্গা ছেয়ে আছে পলাশে। তাই আমি লেককে উপেক্ষা করে অন্যপাশে ফিরে থাকি। আজও তেমনটা আছি।
“যাবেন?”
কোমল স্বরের একটা নারীকণ্ঠ। এক শব্দের বাক্যে মায়াবি একটা টান আছে। টানটা এত বেশি, অন্যমনস্কতা টুপ করে বলিয়ে বসতে পারে, যাব। আমি তবু তাকালাম।
কোমল স্বরের একটা নারীকণ্ঠ। এক শব্দের বাক্যে মায়াবি একটা টান আছে। টানটা এত বেশি, অন্যমনস্কতা টুপ করে বলিয়ে বসতে পারে, যাব। আমি তবু তাকালাম।